পাঠকের মন – মেঘলা আকাশ অথবা ইলশে গুড়ি বৃষ্টি, সাথে ধোঁয়া ওঠা গরম চা বা কফির কাপ,ইয়ারফোন থেকে কানে ভেসে আসা রবীন্দ্রসঙ্গীত অথবা কোন evergreen romantic song আর হাতের মুঠোয় ধরা আশাপূর্না দেবী বা সত্যজিৎ রায় অথবা সাম্প্রতিক লেখক স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর কোন উপন্যাস বা ছোটগল্প। আহা! এমন দিনের কি আর তুলনা হয়? অন্তত আমার মতো যারা বইপ্রেমী তাদের কাছে এমন দিন যেন বারবার আসে। আমিও পাঠিকা তোমাদের’ই মতো, পছন্দের বই পেলে পড়ালেখা, কাজকর্ম এমনকি সঙ্গের সঙ্গী মোবাইলকেও ভুলে যাই। সত্যি বলতে বই মানুষের খুব কাছের বন্ধু, অসময়ের সঙ্গী, অজানাকে জানার সবচেয়ে প্রাচীন ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। ফেলুদা বা ব্যোমকেশের গল্প পড়তে পড়তে আমাদের নাকেও যেন লাগে রহস্যের গন্ধ। কখনো কখনো কোন এক গল্পের নায়িকার মধ্যে যেন খুঁজে পাই নিজের প্রতিচ্ছবি, আবার গল্পের কোন এক মোড়ে এসে মন বলে ওঠে, আরে! এতো যেন আমার জীবনের ছবি।
আসলে লেখকের মনের কল্পনা গুলো কোথাও গিয়ে মিশে যায় আমাদের রোজকার জীবনের সাথে। পাঠকের মন চায় নতুন নতুন গল্প। গল্প মাঝে মাঝে সঙ্গী হয় পাঠকের কোন এক একাকী সফরে। সকলেরই কিছু পছন্দের লেখক বা লেখিকা থাকে। আমার’ও আছে, কিন্তু সেটা স্বল্প দীর্ঘ। শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে নিমাই ভট্টাচার্য, সমীরন গুহ, সুচিত্রা ভট্টাচার্য, রূপক সাহা, স্মরনজিৎ, পৌলমী সেনগুপ্ত আরো কত। আসলে বাংলা ভাষায় ভালো ভালো গল্প, উপন্যাসের তালিকা বেশ দীর্ঘ। হয়তো যারা পড়ছো তাদের অনেকেই মনের কথা কিছুটা এমনই।
আমার মতো যারা পাঠিকা বা পাঠক এই লেখাটা পড়ছেন, যাদের মনের ভাব হয়তো আমার’ই মতো অথবা কিছুটা একইরকম, তারা চাইলেই আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কিভাবে? ক্লিক করুন যোগাযোগ।
One Reply to “পাঠকের মন”