আজ ৩১শে আগষ্ট ২০২২ মহা সমারোহে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। গণেশকে হিন্দুদের বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের দেবতা হিসাবে মানা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা মতে ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশ পূজার সূচনা হয়। দশদিনব্যাপী এই উৎসব শেষ হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। সমগ্র ভারতে এই পূজো প্রচলিত থাকলেও মহারাষ্ট্র গনপতি উৎসবে সর্বাগ্রে। মহারাষ্ট্রে, বিশেষত মুম্বাইতে এখন সাজ সাজ রব। আমরা বাঙালিরা উৎসব ও আনন্দপ্রেমী। তাই সিদ্ধি বিনায়কের আরাধনায় পশ্চিমবঙ্গ ও আজকাল পিছিয়ে নেই। বারো মাসে তেরো পার্বনে এই উৎসব ও স্থান করে নিয়েছে। তবে শুধু ভারত নয়, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাতেও সমহিমায় পালিত হয় গজাননের জন্মোৎসব। গজাননের পূজা যেন বাঙালিদের কাছে দূর্গাপূজার আগমন বার্তা বহন করে আনে।
মহারাষ্ট্রে এই পূজোর প্রচলন করেন বাল গঙ্গাধর তিলক। তবে সেটা গণেশের জন্মতিথি পালনের জন্য নয়, পরাধীন ভারতকে স্বাধীন করতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সব শ্রেণির ভারতবাসীকে একসূত্রে বাঁধতে মহাসমারোহে প্রথম পালিত হয় এই দিনটি।
‘জয় জয় সিদ্ধিদাতা’-এর মতো ছোট প্রতিবেদন পড়তে চান? পড়তে পারেন ‘আমার শহর শ্রীরামপুর‘।
গণেশ চতর্থী সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য চাইলে পড়ুন গণেশ চতুর্থী উইকিপিডিয়া।